রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা বাহিনী ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির তদন্ত কমিটি। রাশিয়া জানিয়েছে, ফরেনসিক টেস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, প্রিগোজিনসহ ১০ জন ওই দুর্ঘটনায় নিহত হন। যদি ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের শেষ অধ্যায়টি সত্যিই লেখা হয়ে থাকে,তাহলে তিনি ঠিক সেভাবেই মারা গেলেন, যেভাবে তিনি জীবন যাপন করছিলেন অত্যন্ত সহিংসতা, জাঁকজমকপূর্ণ এবং চক্রান্তের মধ্য দিয়ে।
২৫ আগষ্ট বিকালে ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিনের নামে নিবন্ধিত একটা এমব্রার লেগাসি বিজনেস জেট আকাশ থেকে রাশিয়ার ভের অঞ্চলের কুজেনকিনস্কো গ্রামের ঠিক দক্ষিণে বিধ্বস্ত হয়। ওয়াগনারের বিদ্রোহের কয়েক দিন পরই ক্ষিপ্ত পুতিন স্পষ্টভাবে বলেছিলেন যে, তিনি এটিকে দেশদ্রোহ হিসেবে দেখছেন। যদিও সেসময় তিনি প্রিগোজিনের নাম নেননি। তিনি বলেছিলেন, ওয়াগনার রাশিয়ার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এটা একটা গুরুতর অভিযোগ। কিন্তু ক্রেমলিন থেকে ওয়াগনারের বিপক্ষে সঙ্গে সঙ্গেই কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর নির্দেশে তারা বিদ্রোহ করে এমন বিবৃতি দিয়ে ওয়াগনার বাহিনী প্রতিবেশী দেশ বেলারুশে স্থানান্তর করে। তখনো প্রিগোজিন ওয়াগনারের প্রধান হিসেবে নিজের নাম প্রকাশ করেননি। পরবর্তী সময়ে সেইন্ট পিটার্সবার্গে তিনি ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন, যদিও তিনি জানতেন আশপাশে তার শত্রুর অভাব নেই। মাত্র দুই মাস আগে গত ২৩ জুন রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে নিজের ২৫ হাজার সেনা নিয়ে বিদ্রোহ করেন প্রিগোজিন। আর এই বিদ্রোহই তার মৃত্যু ডেকে এনেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিষয়ক পর্যবেক্ষক সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব দ্য ওয়ার (আইএসডব্লিউ) রুশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জানায়, বিদ্রোহ সংঘটিত এবং রুশ বিমান বাহিনীর কয়েকটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার পরও প্রিগোজিনের বিশ্বাস ছিল পুতিন তাকে ক্ষমা করে দেবেন। কিন্তু এই বিদ্রোহ যে পুতিনকে ব্যক্তিগতভাবে কতটা বেকায়দায় ফেলে সেটি হয়ত বুঝতে পারেননি প্রিগোজিন অথবা বিষয়টিকে তেমন আমলে নেননি তিনি। মার্কিন এ সংস্থাটি জানায়, ব্যক্তিগতভাবে প্রিগোজিনের ওপর পুতিন যে বিশ্বাস রাখেন সেটিকেও তিনি অবজ্ঞা করেন। যারা পুতিনের প্রতি আনুগত্য দেখান, তাদের তিনি খুবই মূল্যায়ন করেন এবং মাঝে মাঝে পুরস্কৃতও করে থাকেন। এমনকি তারা ব্যর্থ হলেও তিনি তাদের পুরস্কার দিয়ে থাকেন। যুদ্ধবিষয়ক পর্যবেক্ষক সংস্থাটি আরও বলেছে, ‘প্রিগোজিনের বিদ্রোহ ছিল খুবই বড় ধরনের অবাধ্যতা যদিও তিনি দাবি করেন তিনি রাশিয়ার ভালোর জন্য বিদ্রোহ করেন।’
গোয়েন্দা কাহিনিতে নানামুখী চরিত্র পাওয়া যায়। এসব কল্পকাহিনিতে নিজেকে লুকিয়ে রেখে অসাধ্য সাধন করে থাকে। রোমাঞ্চকর এসব চরিত্র পাঠকের হৃদয়ে ছাপ ফেলে। যদিও বাস্তবে এমন চরিত্র খুব একটা দেখা যায় না। একজনের বদলে অন্যজনের জেল খাটার অনেক ঘটনাই পাওয়া যায়। আসলেই কি বাস্তবে নিজেকে লুকিয়ে রেখে কেউ বেঁচে থাকতে পারেন? এ প্রশ্নকে অবান্তর করে নিজেকে মৃত ঘোষণা করে বেঁচে ছিলেন জুয়ান পুল গার্সিয়া। তিনি একজন ডাবল স্পাই অর্থাৎ দুই দেশের স্পাই (গুপ্তচর) হয়ে কাজ করতেন। যার জন্য নিজেই নিজেকে ‘মৃত’ ঘোষণা করেন।
১৯১২ সালে বার্সেলোনায় জন্মগ্রহণ করেন জুয়ান। পড়াশোনা শেষ করে কাজ করতে শুরু করেন হার্ডওয়্যারের দোকানে। পারিবারিক খামার থাকায় সেখানেও কাজ করতেন জুয়ান। ব্যবসার পরিধি বাড়তে থাকায় চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে খুব সুখেই দিন কাটাচ্ছিলেন। কিন্তু ১৯৩৬ সালে তৈরি হয় বিপত্তি। স্পেন জুড়ে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে শুরু হয় যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে অংশ নেন জুয়ান। এজন্য বাজেয়াপ্ত হয় তার জমি এবং তাকে জেল খাটতে হয়। সাজা শেষে জেল থেকে বের হয়ে একনায়কতন্ত্র ও হিটলার বাহিনীকে ঘৃণা শুরু করেন তিনি। ইউরোপ জুড়ে সে সময় বাজছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা। নাৎসি জার্মানি একের পর এক দেশ দখল করছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর সময়ে দেশ ছাড়েন জুয়ান। ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার স্বপ্নে পরিবার ছেড়ে পাড়ি জমান ব্রিটেনে। কিন্তু সেই স্বপ্ন যেন তার পূরণ হবার নয়। কারণ যুদ্ধ করার মতো শারীরিক শক্তি নেই বলে তাকে প্রত্যাখ্যাত করে উচ্চপদস্থ অফিসাররা। গোয়োন্দা বা গুপ্তচর হিসেবে কাজ করবে এমন স্বপ্ন থাকলেও নেই অভিজ্ঞতা। প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরও থেমে থাকেননি জুয়ান,যোগ দেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে। হিটলার বাহিনীর সমর্থক সেজে পাড়িজমান মাদ্রিদের নাৎসি দলে। অফিসারদের জানান, তিনি গুপ্তচর হয়ে জার্মানির জন্য কাজ করবেন। এরপর প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ শুরু করেন জার্মানির গোয়েন্দা সদস্য হিসেবে।
প্রাথমিকভাবে জুয়ানকে লন্ডনে গুপ্তচর হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। কিন্তু জুয়ান শুরু করেন বিশ্বাসঘাতকতা। স্পেনে বসেই দিতে থাকেন সব ভুয়া তথ্য। কখনো এর কাছে শুনে বা পত্রিকা পড়ে সঠিক তথ্যও দেন জুয়ান। ভুল তথ্য দিয়ে নাৎসি বাহিনীর পরিকল্পনা ধ্বংস করে দেয়। তার এই কার্যকলাপের খবর জানতে পারেন ব্রিটিশ গুপ্তচররা। এমআই ৫ থেকে তাকে গুপ্তচর হিসেবে কাজ করার আমন্ত্রণ জানানো হয়। ব্রিটেনে এসে ব্রিটিশ গুপ্তচরদের হয়ে কাজ শুরু করেন জুয়ান। জার্মানরা জুয়ানকে অগাধ বিশ্বাস করলেও সেসবের কোনো তোয়াক্কা করেননি তিনি। জার্মান বাহিনীর সব তথ্য ব্রিটিশ গুপ্তচরদের কাছে ফাঁস করে দিতেন।
এই যুদ্ধে নরমান্ডিতে ব্যাপক আক্রমণের সম্মুখীন হয় জার্মান বাহিনী। ফ্রান্সের এই যুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর উপর হামলা করে মিত্রপক্ষের সেনারা। অথচ এ ব্যাপারে জানতেন না জার্মান সেনাবাহিনীর কেউ। কারণ এই ধরনের কোনো তথ্যই জার্মান বাহিনীকে দেয়নি জুয়ান। এর বছরখানেক পর থামে যুদ্ধ। জার্মান বাহিনী পরাজিত হয়ে আত্মসমর্পণ করে।
সে সময় মিত্রবাহিনী জুয়ানের জন্য জয় পেলেও বিপদের শঙ্কায় ভুগছিলেন তিনি নিজেই। যে কোনো সময় তাকে হত্যা করতে পারে মিত্রপক্ষ। কারণ মিত্ররা ভাবতে পারে জুয়ান জার্মানের হয়ে কাজ করছে। এরপর জুয়ান পাড়ি জমান ভেনিজুয়েলায়। সেখানেও বেশ সমস্যা ও বিপদের আশঙ্কা করেন তিনি। জুয়ানের সঙ্গে সে সময় জার্মান নাৎসি দলের অনেকেই পাড়ি জমান লাতিন আমেরিকায়। এরপর মারাত্মক এক চতুরতা অবলম্বন করেন জুয়ান। ভেনিজুয়েলা থেকে নিজেই এমআই ৫ সদর দপ্তরে খবর পাঠান, জুয়ান ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন; আর এ কথা যেন প্রচার করা হয়। পাশাপাশি জুয়ান প্রতিশ্রুতি দেন, ব্রিটিশ বাহিনীর কোনো কথাই কাউকে জানাবেন না তিনি। কাগজে-কলমে ১৯৪৮ সালে মারা যান জুয়ান। কিন্তু এরপরও প্রায় ৪০ বছর বেঁচেছিলেন তিনি। ব্রিটিশ সংসদের উদ্যোগে ১৯৮৪ সালে লন্ডনে ফেরেন; ১৯৮৮ সালে সেখানেই মারা যান তিনি।
ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর থেকেই গুঞ্জন ছিল রাশিয়ার ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন হয়তো বেশিদিন বাঁচতে পারবেন না। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের ২৩ বছরের শাসনে কুখ্যাত এ বাহিনীর প্রধানের বিদ্রোহ ছিল অন্যতম বড় সংকট। ফলে এ ঘটনার পর পুতিনের প্রতিক্রিয়া কী হয়, তা নিয়ে অনেকেই ভাবছিলেন। বিদ্রোহের সময় প্রিগোজিনের ভাড়াটে বাহিনী অন্তত দুটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করে এবং ১৫ জন রাশিয়ানকে হত্যা করে, যাদের অনেকেই ছিলেন বিমানবাহিনীর সদস্য। পুতিনের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো, বিদ্রোহ করে প্রিগোজিন যেভাবে মস্কোর উপকণ্ঠ পর্যন্ত পৌঁছে যান, তাতে পুতিনের শাসনব্যবস্থার দুর্বলতাই স্পষ্ট হয়েছিল। অথচ অনেকেই হয়তো মস্কোকে আরও সুরক্ষিত মনে করেছিল।
ভøাদিমির পুতিন আর যা-ই হোন, বিশ্বাসঘাতকতা মেনে নেয়ার মানুষ নন। তিনি বিরোধীদের দুটি ভাগে বিভক্ত করেন শত্রু ও বিশ্বাসঘাতক। বিদ্রোহের ঘটনা প্রিগোজিনকে নিঃসন্দেহে দ্বিতীয় ভাগে ফেলে। তবে বিদ্রোহ দমনের ক্ষেত্রে পুতিনের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় সেটা স্পষ্ট ছিল না। জাতির উদ্দেশে টেলিভিশন ভাষণে বিশ্বাসঘাতকদের নিকেশ করার কথা বললেও তিনি প্রিগোজিনকে নিয়ে বেলারুশের প্রস্তাব মেনে নিয়ে ওয়াগনারদের সেখানে নির্বাসনে পাঠান। বিদ্রোহের কয়েক সপ্তাহ পর ক্রেমলিন থেকে বলা হয়, বিদ্রোহের কয়েক দিন পরও ভøাদিমির পুতিন প্রিগোজিন ও ওয়াগনার গ্রুপের কমান্ডারদের সঙ্গে তিন ঘণ্টার বৈঠক করেন।
পুতিন বৈঠকের পর স্বীকার করেন, ইউক্রেনে ওয়াগনার যোদ্ধাদের প্রধান হিসেবে প্রিগোজিনের পরিবর্তে অন্য কাউকে নিয়োগ দিতে চাইলে ব্যর্থ হন তিনি। প্রাথমিকভাবে বেলারুশে যাওয়ার পর প্রিগোজিন স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করতেন; সেন্ট পিটার্সবার্গে নিজ বাড়িতে যেতেন। এমনকি বলা হচ্ছে, তিনি তাঁর প্রাসাদে রাখা নগদ অর্থ ও স্বর্ণের বার নিয়ে যাচ্ছিলেন। এর কিছুদিন পরই প্রিগোজিনকে দেখা যায় সেন্ট পিটার্সবার্গে রাশিয়া-আফ্রিকা সম্মেলনে। সেখানে তিনি হোটেলে আফ্রিকার কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। যারা প্রিগোজিনকে চিনতেন, তারা এভাবে মৃত্যুর খবরে বিস্মিত হননি। সাবেক রেস্টুরেন্ট টাইকুন থেকে ভাড়াটে সৈনিক প্রিগোজিন সব সময়ই ঝুঁকি নিতে পারতেন। তিনি বেলারুশে নির্বাসনে বসে থাকার লোকও ছিলেন না। ওদিকে ভøাদিমির পুতিনও এর আগে কট্টর জাতীয়তাবাদীদের এমন বিরোধিতার মুখে পড়েননি। আর এলিটদের অনেকের বিস্ময় ছিল পুতিনের হাতে এখনও দেশটির নিয়ন্ত্রণ আছে কিনা। সিআইএর পরিচালক উইলিয়াম বার্নস চলতি মাসের শুরুতে বলেন, পুতিনের আচরণে রাশিয়ার অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন জেগেছিল। অনেকে ভেবেছিলেন- ‘সম্রাটের পোশাক পরতে এত সময় লাগছে কেন?’
এ সপ্তাহের শুরুতে প্রিগোজিন এক ভিডিওতে দাবি করেন, তিনি আফ্রিকায় আছেন। ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর সেখানে তাঁর ভাড়াটে বাহিনী পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এটি অস্পষ্ট ছিল কখন ভিডিওটি করা হয় এবং এ ভিডিও করার পর তিনি রাশিয়ায় ফিরে এলেন কিনা।
বিমান দুর্ঘটনার পেছনে ক্রেমলিনের ভূমিকা নিয়ে গুঞ্জন চলছে। একজন সেনাপতির এমন মৃত্যু রুশ বাহিনীর মধ্যে নিঃসন্দেহে ফিসফাস সৃষ্টি করবে। তাঁর বিদ্রোহে সামরিক বাহিনী ব্যাপকভাবে নিন্দা করলেও তিনি সৈন্যদের অনেকের মধ্যে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। বিশেষত যেসব সৈনিক রুশ সামরিক বাহিনী এবং যুদ্ধে নড়বড়ে অবস্থানের সমালোচক প্রিগোজিনকে মনে মনে সমর্থন করতেন।
প্রিগোজিনের জেট বিমান দুর্ঘটনা এমন দিনে ঘটে, যেদিন প্রতিবেদন প্রকাশ হয় প্রিগোজিনের বিদ্রোহের পর মস্কো একজন সামরিক কমান্ডারকে বরখাস্ত করে। রুশ মহাকাশ বাহিনীর নেতৃত্বে থাকা জেনারেল সার্গেই সুরোভিকিনকে অব্যাহতি দেয়া হয়। প্রিগোজিন প্রকাশ্যে সুরোভিকিনকে সমর্থন করেছিলেন। তাঁকে ওয়াগনার বাহিনীর মিত্র হিসেবে দেখা হয়। এর ফলে প্রশ্ন ওঠে, প্রখ্যাত কমান্ডার সুরোভিকিন নিজে অথবা অন্য জ্যেষ্ঠ কমান্ডাররা এই বিদ্রোহে মদদ দিয়েছিলেন কিনা, কিংবা অন্তত প্রিগোজিনের পরিকল্পনা সম্পর্কে তাদের ধারণা ছিল কিনা। বিমানটির নাটকীয় দুর্ঘটনার ফুটেজও প্রিগোজিনের মিত্রদের হতবাক করে।
লেখক : এম এ কবীর, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক, কলামিস্ট ও সভাপতি, ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি।
Leave a Reply